বাংলাদেশের ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস অনেক পুরোনো এবং সমৃদ্ধ। যুগ যুগ ধরে এই সেবাটি মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রযুক্তির অগ্রগতির যুগেও ডাক বিভাগের প্রয়োজনীয়তা কমেনি, বরং এটি নতুন রূপে নতুনভাবে জনগণের সেবা দিয়ে চলেছে। এই আধুনিক ও দক্ষ ডাক সেবা নিশ্চিত করতে যে প্রতিষ্ঠানটি নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছে, সেটি হলো রাজশাহীর পোস্টাল একাডেমী । একে অনায়াসে বলা যায়— বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের হৃদয়স্থল । প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও পটভূমি রাজশাহীর পোস্টাল একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে, প্রাথমিকভাবে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। এটি বাংলাদেশ পোস্টাল ডিপার্টমেন্টের আওতায় একটি জাতীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। একাডেমীটি রাজশাহী শহরের উপকণ্ঠে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। শুরু থেকেই এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ডাককর্মীদের প্রশিক্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রাজশাহীর পোস্টাল একাডেমীর মূল লক্ষ্য হলো— ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে ডাক সেবার স...
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর হলো শাহ মখদুম বিমানবন্দর , যা রাজশাহী শহরে অবস্থিত। এটি শুধু রাজশাহী নয়, পুরো উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। শাহ মখদুম (রহ.)-এর নামানুসারে বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়েছে, যিনি ছিলেন রাজশাহীর একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক। বিমানবন্দরের অবস্থান ও গুরুত্ব: শাহ মখদুম বিমানবন্দরটি রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার মধ্যে অবস্থিত। এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হলেও, এর গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। ইতিহাস: শাহ মখদুম বিমানবন্দর ১৯৫০ সালের দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমদিকে এটি একটি ছোট আকারের রানওয়ে নিয়ে চালু হয়। পরবর্তীতে সরকারিভাবে এর সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAAB) কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। পরিকাঠামো ও সুবিধা: বর্তমানে শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। বিমানবন্দরে রানওয়ের দৈর...